ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম
প্রকাশ : ২০ জুলাই, ২০১৯ ১২:০৪

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে গরু ঢোকা বন্ধ!

অনলাইন ডেস্ক

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত দিয়ে গরু ঢোকা বন্ধ!

আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন খামারে গরু লালন পালন পুরোদমে শুরু হয়েছে। কোরবানি ঈদে গরুর অনেক চাহিদা থাকে। সেই বিষয়কে মাথায় রেখে খামারিরা গরুর প্রতি বাড়তি যত্ন নেয়া এরই মধ্যে শুরু করে েদিয়েছে। আর তাদের সব রকমের সহায়তা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

সব মিলিয়ে এবারের কোরবানির জন্য এখন দেশের খামারেই প্রস্তুত রয়েছে পর্যাপ্ত গরু। ফলে ভারতীয় গরুর প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ অগাস্ট কোরবানির ঈদ হতে পারে। এবার ঈদে এক কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে ধরে নিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা এর থেকেও আট লাখ বেশি রয়েছে।

কোরবানির ঈদে সম্ভাব্য চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু দেশে রয়েছে বলে ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থে এই সময় ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  এবার সারা দেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

“আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো।

“মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে।”

“দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদির অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,” বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এই বিভাগের আরও খবর