বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি একটি সাধারণ ওয়ানডে হলেও শ্রীলঙ্কার জন্য বিশেষ। কারণ এই ম্যাচ খেলেই অবসরে যাচ্ছেন কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। এমন একজন খেলোয়াড়কে বিদায়ী উপহার দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শ্রীলঙ্কা ব্যাট হাতে বড় স্কোর গড়েছে। কুসল পেরেরার দারুণ সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৪ রান। সাকিব-লিটনদের ছাড়া এই স্কোর তাড়া করা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং বটে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে দলকে শুরুতেই সাফল্য এনে দেন ২১ মাস পর দলে ফেরা পেসার শফিউল ইসলাম। তার বলে দলীয় ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। প্রথম স্লিপ থেকে আভিস্কা ফার্নান্দোর (৭) ক্যাচ নেন সৌম্য সরকার। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ৯৭ রানের বিশাল জুটি গড়েন দিমুথ করুনারত্নে এবং কুসল পেরেরা। লঙ্কান অধিনায়ককে ৩৬ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ।
ধীরে ধীরে বাংলাদেশি বোলারদের শুরুর সাফল্য ম্লান হয়ে যায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দাপটে। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুসল পেরেরা। তিন অংক স্পর্শ করতে তিনি খেলেছেন ৮২ বল, হাঁকিয়েছেন ১৭টি চার এবং ১টি ছক্কা। ৯৯ বলে ১১১ রান করা কুসল পেরেরা সৌম্য সরকারের শিকার হলে ভাঙে ১০০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। কুসল মেন্ডিসকে (৪৩) মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন রুবেল হোসেন। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা দেন কুসল।
লাহিরু থিরিমান্নেকে (২৫) মুস্তাফিজুর রহমান ফেরালে ২৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরের ওভারেই বিপজ্জনক থিসারা পেরেরাকে (২) দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন শফিউল। দুটি ক্যাচই নিয়েছেন সৌম্য সরকার। শেষ ওভারে শফিউল ফেরান ধনাঞ্জয়াকে (১৮)। ৫ ওভারে সবচেয়ে কম ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া সৌম্যকে আর বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক তামিম। ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে মুস্তাফিজুর রহমান। শফিউল ৩ উইকেট নিলেও ৯ ওভারে খরচ করেছেন ৬২ রান।
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ