ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ ০৭:৪০

এক নজরে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর

অনলাইন ডেস্ক

এক নজরে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর

বাংলাদেশ অত্যন্ত গৌরবোজ্জ¦ল ঐতিহ্যের অধিকারী। আড়াই হাজার বছরের অধিক সময়ে এদেশে বিভিন্ন জনগোষ্ঠি, শাসক শ্রেণী গড়ে তোলে অসংখ্য ইমারত, নগর , প্রাসাদ, দুর্গ, মন্দির, মসজিদ, বিহার স্তুপ ও সমাধি সৌধ। এসব ঐতিহ্যের অধিকাংশই কালের গর্ভে বিলীন হলেও উল্লেখেযোগ্য সংখ্যক সংস্কৃতি চিহ্ন এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজো টিকে আছে যা প্রত্নতাত্ত্বিক  নিদর্শন হিসেবে সমধিক পরিচিত। এসব প্রত্ননিদর্শনের অনুসন্ধান, খনন,  সংরক্ষণ, প্রদর্শন এবং গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাস পুনরুদ্ধারের কাজে  প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিয়োজিত। 


      প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর উপ-মহাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন অধিদপ্তর। ১৮৬১ সালে  আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া নামে এ অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। সাধীনতার পর ঢাকায় বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় স্থাপিত হয়। ১৯৮৩ সালে  বিভাগীয় পূর্নবিন্যাসের মাধ্যমে ঢাকায় প্রধান দপ্তরসহ ৪টি বিভাগে আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়া অধিদপ্তরের অধীনে ১৯টি প্রত্নতাত্ত্বিক  জাদুঘর রয়েছে। এসব জাদুঘরের মাধ্যমে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। এ  অধিদপ্তর দেশের  প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রাচীন সংস্কৃতি চিহ্নের আবিস্কারের মাধ্যমে ইতিহাস পুনরুদ্ধার  এবং উম্মোচিত স্থাপত্যিক কাঠামোর সংস্কার সংরক্ষণ ও প্রদর্শন  করে থাকে।

দেশের বিভিন্ন  জাদুঘর সমূহ প্রদর্শনের মাধ্যমে  দেশী এবং বিদেশী দর্শক, ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকগণ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করে থাকেন।

       বর্তমানে অধিদপ্তরের আওতায় ৪৫৩টি  সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে । তন্মধ্যে মহাস্থানগড়, ময়নামতি, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, সীতাকোট বিহার, কান্তজীর মন্দির, ছোট সোনা মসজিদ, ষাট গম্বুজ মসজিদ, ভাসুবিহার, বিহার ও বারবাজার, লালবাগ দুর্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি ।