তবে এটা নেহাতই কাকতালীয় ঘটনা নয়। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। সারাদিনে আমরা যখন নানা রকম কাজ করি, তখন দুই হাঁটুর কার্টিলেজ সংকুচিত হয়ে যায়। তাই উচ্চতা সন্ধ্যার দিকে কমে যায়। কিন্তু ঘুমের সময়ে শরীর বিশ্রাম নেয়। তেমন কোনও নড়াচড়ার ব্যাপার থাকে না। তাই কার্টিলেজগুলো ফের স্বাভাবিক আকারে ফিরে যায়। তবে সকালবেলা যে অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটা লম্বা হয়ে যাবেন, এমনটা ভেবে বসবেন না। মোটে ১ সেন্টিমিটার লম্বা হবেন দিনের বাকি সময়ের চেয়ে।
আমাদের শিরদাঁড়ায় ৩৩টি ভার্টিব্রি রয়েছে। প্রত্যেকটির মধ্যে এমন এক তরল পদার্থ থাকে, যা আমাদের ওঠা-বসা-শোয়া— সবেতেই সাহায্য করে। সারা দিনে যখন আমরা নানা রকম কাজ করি, তখন শিরদাঁড়া সংকুচিত হতে থাকে। কিন্তু ঘুমের সময়ে সেগুলো ফের স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই ঘুম থেকে উঠে সকালে সামান্য লম্বা হওয়ার এক অন্যতম কারণ আমাদের শিরদাঁড়াও।